কাশ্মীর মানেই পর্যটন। বেশির ভাগ ভ্রমণপিপাসু বাঙালিরই গন্তব্যের প্রথম পছন্দ ভূস্বর্গ।
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই শ্রীনগর, গুলমার্গ, সোনমার্গ, পহেলগাঁওয়ের পাশাপাশি অচেনা ভূস্বর্গের স্বাদ নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। পর্যটকেরা পাড়ি দিতে পারেন শ্রীনগর থেকে প্রায় ৪৫ কিমি দূরের ইয়ুসমার্গে। যেখানে ঘোড়ার পিঠে চেপে পাইনের জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ের চড়াই-উতরাই পথে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে দুধপাতরি, গুরেজ, কোকেরাং, বেঙ্গিস ভ্যালি, টোডা ময়দান। সেগুলোতে পর্যটকের আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেই পর্বত দিবস উদযাপন করা হয়।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের অনুষ্ঠানে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) অপর্ণা কুমার বলেন, এ বছরের মার্চ থেকে আমি কোথাও ভ্রমণ করিনি। জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন দফতর থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি সরাসরি এখানে এসেছি। আমি কাশ্মীর এবং এর সৌন্দর্য দেখতে চেয়েছিলাম। আমি জম্মু ও কাশ্মীর সরকারকে পর্যটনে উৎসাহিত করার জন্য অনুরোধ করব। এটি টেকসই উন্নয়নের পথেও এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও যোগ করেন, আমি এখানে দেরাদুন থেকে এসেছি। আমি কর্ণাটকের। কাশ্মীর এই দেশের অন্যতম সুন্দর জায়গা। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি এখানে এসে কাশ্মীরের সৌন্দর্য এবং কাশ্মীরিদের আতিথেয়তা উপভোগ করার জন্য।
চলচ্চিত্র নির্মাতা জালাল উদ্দিন বাবা বলেন, আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উদযাপিত হওয়া উচিত। আমাদের জীবিকা পর্যটন নির্ভর। আমার মনে হচ্ছে আমাদের পর্যটন শিল্প সীমাবদ্ধ। পর্যটকরা কেবল বিমানবন্দর থেকে শ্রীনগর-ডাল লেক-পাহলগাম-গুলমার্গ-সোনামার্গ এবং সেখান থেকে নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে পছন্দ করেন। এটি বেসিক কাশ্মীর। কিন্তু এর বাইরেও কাশ্মীরের অনেক সৌন্দর্য ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
আয়োজনে এ অঞ্চলের ট্যুরিজম কাশ্মীরের পরিচালক নিসার আহমদ ওয়ানী বলেন, পাহাড় ও পর্বতের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। এগুলো কেবল প্রাকৃতিক সম্পদ এবং প্রাণীদের আশ্রয় দেয় না, একইসঙ্গে পর্যটনকেও আকর্ষণ করে। আমরা সকলেই এখানে পর্যটনের প্রচারের জন্য একত্রিত হয়েছি। আমরা পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
তথ্যসূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
এইচএমএস/