প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়াতে তাইওয়ান সাবমেরিনবহর তৈরি করছে। মূলত চীনের হুমকি মোকাবেলা ও চীনের অবাধ চলাচলে নৌ-অবরোধ তৈরির জন্যই এ পদক্ষেপ নিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি।
সাবমেরিন নির্মাণকাজ শুরু উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতি তসই ইঙ্গ-ওয়েন এটিকে একটি ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এটি বিশ্বের কাছে তাইওয়ানের দৃঢ় মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে বলেও জানান তিনি।
গত কয়েক মাস ধরে চায়নিজ পিপলস লিবারেশন আর্মি তাইওয়ানের ওপর সামরিক চাপ বাড়িয়ে চলেছে। এ ছাড়া তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে তারা। পাশাপাশি নিকটবর্তী দ্বীপগুলোতে সামরিক মহড়াও চালিয়েছে। এ পদক্ষেপগুলোকে তাইপের জন্য হুমকি মনে করা হচ্ছে।
তাইওয়ানের পরিকল্পিত সাবমেরিনগুলো চীনের থেকে তাইওয়ানকে সুরক্ষিত রাখবে। এ ছাড়া সাবমেরিনগুলো চীনের মূল ভূখণ্ড ও তাইওয়ানের মাঝের সরু জলসীমায় চীনা সম্প্রসারণবাদী নকশাকে প্রতিহত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।
তাইওয়ানের সাবমেরিনগুলো ডিজেল-বৈদ্যুতিকচালিত হবে। এটি পানির ওপরে ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহার করে চলবে। আর ডুবে যাওয়ার পর দীর্ঘস্থায়ী লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি দ্বারা চালিত হবে। অতি-শান্ত বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করা হবে এতে। এটা মোকাবেলায় চীনকে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে সব সময়।
এদিকে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ইতিমধ্যে তাইওয়ান সম্পর্কে তার উদ্দেশ্যগুলে পরিষ্কার করেছেন। তিনি এই দ্বীপটিকে কখনোই স্বাধীন হতে দেবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে প্রয়োজনে বল প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
সূত্র : দি ইকোনমিক টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
নিউজ ডেস্ক