২০১৭ সালের নির্বাচনে ২৭৫ আসনের মধ্যে কে পি শর্মা অলির কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (একত্রিত মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) দল সর্বোচ্চ ৮০ আসনে জিতেছিল। পরে কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী) দলের নেতা পুষ্প কুমার দাহালের সমর্থন নিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হন অলি।
এর তিন মাস পর মে মাসে দুই দল একত্রিত হয়ে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি-এনসিপি গঠিত হয়।
তবে গত কয়েক মাসে এনসিপির অধিকাংশ নেতার সমর্থন হারান কে পি শর্মা অলি। নেতাদের অভিযোগ, তাদের উপেক্ষা করে বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত ও গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব অভিযোগে অলিকে পদত্যাগের আহ্বানও জানান তারা। এমনকি তার বিরুদ্ধে সংসদে নো-কনফিডেন্স ভোট আনারও উদ্যোগ শুরু হয়। এই খবর পেয়েই অলি সংসদ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন বলে তার দলের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানিয়েছেন।
তবে দেশকে একটি অকার্যকর অবস্থা থেকে বের করে আনতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সোমবার জানান অলি। এরপর তার মন্ত্রিসভার পরামর্শে আগামী ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে নতুন নির্বাচনের তারিখ প্রস্তাব করেন প্রেসিডেন্ট ভান্ডারি। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের এক বছরেরও বেশি সময় আগে নেপালে নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
এদিকে, অলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সাতজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। সংবিধান বিষয়ক আইনজীবীরা বলছেন, অলির সিদ্ধান্তের কারণে দেশটিতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা শুরু হতে পারে। মঙ্গলবার তাকে এনসিপির কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অলির সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আদালতে বেশ কয়েকটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। আইনজীবী দিনেশ ত্রিপাঠি একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। তিনি বলছেন, সংবিধান মতে, সংসদ বিলুপ্ত করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর নেই। এটা একটা সাংবিধানিক অভ্যুত্থান বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
এমজেএফ