গত ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ইলেকটোরাল কলেজের ভোটগুলো গোনা এবং তার বিজয়ের চূড়ান্ত প্রত্যয়ন দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটলের ভেতর ঢুকে গুলি চালায় এবং ভাঙচুর শুরু করে।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন পোস্ট, বিসিসি এবং অন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
ক্যাপিটলে হামলার ঘটনার পর থেকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ভোর ৬টা পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসি ও পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য ভার্জিনিয়ায় কারফিউ জারি করা হয়। এছাড়া, শহরজুড়ে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়।
ফল প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প সমর্থকেরা ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। ইলেকটোরাল কলেজের ভোট গণনা বন্ধ করার দাবি করে ক্যাপিটলে ঢুকে হামলা চালান সশস্ত্র ট্রাম্প সমর্থকরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই সমর্থকদের সমবেত হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ নির্বাচনে এখনো তার পরাজয় স্বীকার করেননি। তিনি নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে, কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটর জানিয়েছেন, তারা এ নির্বাচনী ফল অনুমোদনের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আপত্তি জানাবেন।
একদিকে ক্যাপিটলের বাইরে যখন ট্রাম্প সমর্থকরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়, অন্যদিকে কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতারা জো বাইডেনের বিরোধিতা করেন। যেমন অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ১১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট জো বাইডেনের পক্ষে দেওয়ার পর পরই আপত্তি জানানো হয় এবং এতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সমর্থন জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২১
এফএম/এমআইএস/আরএ