দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের আধিপত্য ঠেকাতে তৎপর ভারত। লাদাখে চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রত্যাশামতো সমর্থন না পেলেও ভারত কূটনীতির মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলে উঠছে।
শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কার সরকার ত্রিপক্ষীয় এ চুক্তি নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছিল। সূত্র: আল জাজিরা
রাজাপাকসে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বলেন, ইস্ট কনটেইনার টার্মিনাল (ইসিটি) প্রজেক্ট এগিয়ে নেওয়া হবে।
‘আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ’ পর্যালোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০১৪ সালে কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল কনটেইনার টার্মিনালে পূর্বের ঘোষণা ছাড়া চীনা সাবমেরিন ভিড়লে ভারত শ্রীলঙ্কার কাছে এ বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানায়।
এসবের মধ্যে ভারতের জোরালো কূটনীতিক তৎপরতার পর শ্রীলঙ্কা পোর্ট অথরিটি (এসএলপিএ) ২০১৯ সালের মে মাসে ভারত-জাপানের সঙ্গে কলম্বো বন্দরের ইস্ট কনটেইনার টার্মিনাল (ইসিটি) নির্মাণে সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) সই করে। পরে বন্দরের শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে সেটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। এমনকি এ চুক্তি বাতিল করা হতে পারে-এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল।
এ টার্মিনালের ৫১ শতাংশ উন্নয়ন করবে শ্রীলঙ্কা। বাকি ৪৯ শতাংশ ভারতের আদানি গ্রুপ এবং জাপান নির্মাণ করবে।
ডিপ-সি জেটিটির অবস্থান কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল কনটেইনার টার্মিনালের পাশে। যে টার্মিনালের ৮৫ শতাংশ মালিকানা চীনের। বাকি ১৫ শতাংশের মালিক এসএলপিএ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশে দেশে ক্ষমতার পালাবদল এবং মেগা প্রজেক্টগুলো বাগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চীন-ভারত বলতে গেলে মুখোমুখি অবস্থানে। মালদ্বীপ, নেপালের পর এবার শ্রীলঙ্কায় দেশ দুটি নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ইসিটির উন্নয়নের কাজ ভারত-জাপানের মাধ্যমে করানো চীন কীভাবে নেয় এখন তা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২১
এইচএডি/