দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়েস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও দেশটির সরকার বলছে, টাস্ক ফোর্স গঠনের মাধ্যমে সেখানে কুকুর খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যায়নি। এ বিষয়টি বিবেচনা করার জন্যই টাস্ট ফোর্স গঠন করা হলো।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সাতটি সরকারি অফিস জানিয়েছে, তারা কুকুরের মাংস খাওয়াকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের জন্য কর্মকর্তা, বেসামরিক বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার লোকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এখন কর্তৃপক্ষ কুকুরের খামার, রেস্তোরাঁ এবং অন্য সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনগণের মতামত যাচাই করবে।
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধের আইন প্রণয়নের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানান পশু অধিকার কর্মীরা। একই সঙ্গে সমর্থন জানায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন নতুন আইনের পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে বলেছিলেন, কুকুরের মাংস খাওয়া আন্তর্জাতিক পরিসরে বেশ বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় অনেকেই আগের মতো আর কুকুরের মাংস খেতে চান না, তাই এখনই তা বন্ধ করা উচিত। পশুপ্রেমী এবং দক্ষিণ কোরিয়ার তরুণ প্রজন্মের একাংশ মনে করে, সরকার চাইলে এখন দেশে কুকুরের মাংস বিক্রি এবং খাওয়া বন্ধ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন:
বছরে ১০ লাখ কুকুর খায় কোরিয়ানরা
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
জেএইচটি