করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের চিকিৎসায় গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের মুখে খাওয়ার ওষুধ বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওষুধটিতে রয়েছে এক ধরনের মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। এতে রয়েছে এক ধরনের প্রোটিন যা শরীরের কোষে যা করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের প্রবেশ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
ব্রিটিশ ওষুধ এবং স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এমএইচআরএ) জানিয়েছে, যারা মারাত্মক করোনা সংক্রমণে ভুগছেন এবং যাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের এই ওষুধ কার্যকর। এমনকি করোনার উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও এই ওষুধ কার্যকর বলে ওষুধটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে।
এমএইচআরএ জানিয়েছে, সোট্রোভিম্যাব নামে এই ওষুধটি মৃদু থেকে মাঝারি করোনার সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে নিরাপদ এবং কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে উৎপাদক সংস্থা দাবি করেছে।
গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোট্রোভিম্যাব নতুন ওমিক্রন সার্স-কভ-টু ভ্যারিয়েন্টের মিউটেশনের ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এই ওষুধ কতটা কার্যকর সেটা নিরপেক্ষভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওষুধটি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ এ ব্যাপারে চূড়ান্ত জানানোর পরিকল্পনা আছে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের।
এমএইচআরএ জানিয়েছে, এই ওষুধের একটি ডোজই করোনা সংক্রমিত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি ৭৯ শতাংশ কমাতে পারে।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। পরে বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে এ ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে এখনো কারো শরীরে ওমিক্রন শনাক্তের খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
এসআইএস