সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, লুক্সেমবুর্গের পর এবার অস্ট্রিয়ায় বৈধ হচ্ছে স্বেচ্ছামৃত্যু।
অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ মানুষ অন্যের সহায়তায় স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারবেন বলে অস্ট্রিয়ার পার্লামেন্টে বিল পাস হয়েছে।
এতদিন অস্ট্রিয়ায় স্বেচ্ছামৃত্যু নিষিদ্ধ ছিল। সেই আইনের সময়সীমা শেষ হতে চলেছে। এখন পার্লামেন্টে নতুন বিল পাস হলো। এতে স্বেচ্ছামৃত্যুকে বেশ কিছু কঠোর শর্তসাপেক্ষে স্বীকৃতি দেওয়া হলো।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে অস্ট্রিয়ার আদালত রায় দিয়েছিলেন, আগের আইন মানবাধিকার বিরোধী।
নতুন আইন অনুসারে, শর্তসাপেক্ষে অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ মানুষ স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারবেন।
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই আইনের নাম হলো ‘অ্যাসিসটেড সুইসাইড অ্যাক্ট’। সেখানে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীরাই স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারবেন। তবে তারা হয় মৃত্যুপথযাত্রী হবেন অথবা এমন অসুখে পড়ে ভয়ংকর দুর্বল হয়ে পড়েছেন, যা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
প্রতিটি ক্ষেত্রে দুজন চিকিৎসক আবেদন বিচার করে দেখবেন। রোগী নিজের ইচ্ছায় স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন কি না, তাও বিচার করে দেখবেন তারা। অন্তত ১২ সপ্তাহ দেখা হবে, অসুস্থ মানুষ সাময়িক সংকটে কাতর হয়ে এই আবেদন করেছে কি না। তবে অসুস্থতার কারণে, যার অদূর ভবিষ্যতে মৃত্যু হতে পারে, তার ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ দেখা হবে না।
যিনি স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে চান, তাকে আইনজীবীর কাছে বা নোটারির কাছে জানাতে হবে, তিনি ওষুধ খেয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু চান।
অস্ট্রিয়ার সাংবিধানিক আদালত জানিয়ে দেন, স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ না করতে দেওয়া মানবাধিকার ভঙ্গের সামিল। তারপরই নতুন আইন জরুরি ছিল।
প্রসঙ্গত, সুইজারল্যান্ডে বিদেশিরাও গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারে। জার্মানি ও ফ্রান্সে আদালত স্বেচ্ছামৃত্যুকে আইনসঙ্গত করলেও সরকার কোনো আইন করেনি। পর্তুগালের পার্লামেন্ট বিল পাস করলেও প্রেসিডেন্ট সেই বিলে সম্মতি দিতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
জেএইচটি