করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইউরোপে বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই আগামী বছরের শুরুতে ফ্রান্সে ওমিক্রন দাপট দেখাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। সংক্রমণের বিস্তার রোধে শুক্রবার যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এরপরই এমন বার্তা দেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স।
শুক্রবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ। ওমিক্রনের সংক্রমণ মোকাবিলায় ওইদিন নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং জার্মানিতেও অতিরিক্ত বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার জার্মানিতে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৫০ হাজার মানুষ। গোটা ইউরোপে এখন পর্যন্ত আট কোটি ৯০ লাখ মানুষ করোনা শনাক্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৫ লাখের বেশি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য ফ্রান্সের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় ডোভার বন্দর এবং ইউরোস্টার টার্মিনালে গাড়ির দীর্ঘ জটলা সৃষ্টি হয়।
ফরাসি প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ রোধে ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। সামনে সরকার নতুন পদক্ষেপ নেবে। কারণ যারা এখনও টিকা নেননি, তাদের কারণে পুরো দেশকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও নিজ দেশের নাগরিকদের টিকা নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এর আগে এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ইতালি, গ্রিস এবং পর্তুগাল ইউরোপীয় পর্যটকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। এতে ওইসব দেশ ভ্রমণে যারা টিকা নিয়েছেন তাদেরও করোনা নেগেটিভ পরীক্ষার ফল প্রদর্শন করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
এনএসআর