ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক ব্যক্তি, স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত এবং যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের সুরক্ষায় টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যখন বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ঠিক সে সময় বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সুপারিশক্রমে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অফিস এ ঘোষণা দিলো।
বিষয়টি ‘দারুণ খবর’ উল্লেখ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় বরাবরই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসরাইল। বিশ্বে ইসরায়েলি নাগরিকরাই সবার আগে টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় টিকার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রেও আমরাই অগ্রদূত হিসেবে থাকছি।
জানা গেছে, যারা টিকার চতুর্থ ডোজের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, তাদের তৃতীয় ডোজ নেওয়ার অন্তত চার মাস পর এই ডোজ দেওয়া হবে। এছাড়া এ সংক্রান্ত এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সুপারিশে দ্বিতীয় ডোজের পর তৃতীয় ডোজ নেওয়ার মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধানও কমিয়ে আনা হবে। আগে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পাঁচ মাস পর তৃতীয় ডোজ নেওয়া হতো। এখন সেটা কমিয়ে তিন মাস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য গালিয়া রাহাভ ইসরায়েল রেডিওকে বলেন, টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব সহজ ছিল না। আমাদের হাতে এখনও মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোন পর্যায়ে সেই ব্যাপারে তথ্য নেই। তৃতীয় ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেও এই তথ্য ছিল না। কিন্তু এ ব্যাপারে বিশ্বের অন্য দেশের তথ্য খুবই ভীতিকর। তবে এ ধরনের মুহূর্তে যদি আপনি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নেন তাহলে ট্রেনটি মিস করবেন।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অন্তত ৩৪১ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
এনএসআর