বৈবাহিক ধর্ষণ আইনি বিচ্ছেদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ হতে পারে। গত আগস্ট মাসে যুগান্তকারী রায়ে জানিয়েছিল ভারতের কেরালা হাইকোর্ট।
এবার এ বিষয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রায় পাওয়া গেল গুজরাট হাইকোর্ট থেকে। রাজ্যের বনাসকাঁটা জেলার এক মুসলিম দম্পতির দাম্পত্য বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় এ রায় দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা ও বিচারপতি নির্মল মেহতার বেঞ্চ জানিয়েছে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা যায় না।
আদালত সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তির স্ত্রী পেশায় নার্স। ১৯৯৫ সালে বিয়ের পরে তাদের সন্তান হয়। কিন্তু পরে তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান। এদিকে স্বামী তাকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যেতে চাইছেন। কিন্তু তাতে রাজি নয় স্ত্রী। এ নিয়ে পারিবারিক আদালতে যান ওই ব্যক্তি। তখন স্বামীর পক্ষেই রায় দিয়েছিল পারিবারিক আদালত। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ইউপিএ আমলে বিচারপতি জেএস বর্মার নেতৃত্বাধীন কমিটি বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধের তালিকায় রাখার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামা দিয়ে সেই সুপারিশের বিরোধিতা করেছে।
কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, এই আইন কার্যকর হলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠান নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। তৈরি হবে অস্থিরতা।
এসবের মধ্যে যুগান্তকারী রায়ে কেরালা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, বৈবাহিক ধর্ষণ আইনি বিচ্ছেদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ হতে পারে। আর এবার গুজরাট হাইকোর্ট জানিয়েছে, স্ত্রী কখনই স্বামীর সম্পত্তি নন। তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা বৈবাহিক দায়িত্ব পালনে বাধ্য করা যায় না।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
এনএসআর