ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

খারকিভ থেকে শিশুদের নিয়ে পোল্যান্ডে মেডিক্যাল ট্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২২
খারকিভ থেকে শিশুদের নিয়ে পোল্যান্ডে মেডিক্যাল ট্রেন

রাশিয়ার ১০ দিনের সামরিক অভিযানে ইউক্রেনের শহর খারকিভ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরে নির্বিচারে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্লাস্টার বোমা বর্ষণে হতাহত হয়েছেন অনেকে।

সেই তালিকায় রয়েছে শিশুরাও। এছাড়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্যাহত হয়ে পড়েছিল দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা।

শুক্রবার (০৪ মার্চ) রাতে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খারকিভের সেই আহত এবং কঠিন রোগে আক্রান্ত শিশুদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিশেষ মেডিক্যাল ট্রেনে ১২ জন শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের নেওয়া হয় পোল্যান্ড সীমান্তে। এজন্য একটি সাধারণ ট্রেনে আপদকালীন চিকিৎসার কিছু ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল। ট্রেনটিতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন খারকিভের বিশিষ্ট শিশুচিকিৎসক ইউজেনিয়া সুজকিউইচসহ আরো কয়েকজন ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মী।

ইউক্রেন সরকার সূত্র জানিয়েছে, ওই শিশুদের চিকিৎসার জন্য পোল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধিস্তরের শান্তি বৈঠকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে শুরু হয় অসুস্থ এবং আহত শিশুদের খারকিভ থেকে সরানোর উদ্যোগ।

পোল্যান্ডগামী ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে ছিল ছয় বছর বয়সী ভিক্টোরিয়া। তার মা ইরা বলেন, ছোট থেকেই আমার মেয়ে সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত। তার নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন, কিন্তু যুদ্ধের আবহে তা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই শিশুচিকিৎসক ইউজেনিয়ার মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলাম।  

ইরা জানান, প্রথমে তাদের খারকিভের অদূরে লভিভ শহরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা বিশেষ মেডিক্যাল ট্রেনের যাত্রী হওয়ার অনুমতি পান।

শিশুচিকিৎসক ইউজেনিয়া জানিয়েছেন, খারকিভ শহরে আরো অন্তত ২০০ জন শিশুর চিকিৎসা প্রয়োজন। ধাপে ধাপে তাদের চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তাদের।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।