ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা হয়েছিল ইভ্যালির সিইওকে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা হয়েছিল ইভ্যালির সিইওকে

টাঙ্গাইল: ঢাকার কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয় ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে। এ সময় দুই পায়ে ও হাতে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় দেখা গেছে রাসেলকে।

৫টি চেকে ৪৭ লাখ টাকার প্রতারণা মামলার আসামিকে এভাবে ডান্ডাবেড়ি পরানো আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।  

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইল অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয় রাসেলকে। দুই পায়ে ও হাতে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় কাঠগড়ায় দাঁড়ান রাসেল। দীর্ঘ সময় পাঁচটি মামলার শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মনিরা সুলতানা সব মামলায় তাকে জামিনের আদেশ দেন।  

এরপর ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় রাসেল হেঁটে দ্বিতীয় তলা থেকে আদালত ভবনের নিচে নেমে আসেন। তার দুই পাশে প্রহরায় ছিলেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা।

আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে টাঙ্গাইল আদালতের আইনজীবীরা বলছেন, বিচারকার্য চলাকালে কাউকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করার কোনো ভিত্তি নেই। এটা আইনবহির্ভূত। তারপর আবার চেক ডিজঅনার মামলা। এটা সিআর মামলা হলেও এটি জামিনযোগ্য মামলা।

আসামিপক্ষে আইনজীবী ফেন্সি খান জানান, তার মক্কেল করাপটেড। তার বিরুদ্ধে সারা দেশে অনেক মামলা রয়েছে। আর মামলার ধরন বুঝে আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যৌক্তিক।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস আকবর খান জানান, কোনোভাবেই আসামিকে শুনানি চলাকালে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা যাবে না। এটা আইনবহির্ভূত।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রাসেদুজ্জামান বাদী হয়ে ৫টি চেক জালিয়াতির মোট ৪৭ লাখ টাকার প্রতারণার মামলা করেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় ঢাকার কাশিমপুর কারাগার থেকে সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে রাসেলকে হাজির করা হয়। পরে আদালত ৫টি মামলায় আসামি রাসেলকে জামিন দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।