ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নারী সাংবাদিকের চরিত্রহনন করে ইমেইল, যুবকের ৩ বছরের কারাদণ্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
নারী সাংবাদিকের চরিত্রহনন করে ইমেইল, যুবকের ৩ বছরের কারাদণ্ড

রাজশাহী: সংবাদপত্র অফিসে একজন নারী কর্মীর চরিত্রহনন করে সাংবাদিকদের ইমেইল বার্তা পাঠানোর অপরাধে এক যুবককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায় আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড।

 

মামলার পৃথক দুটি ধারায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দোষী প্রমাণিত হাওয়ায় তাকে এই সাজা দেওয়া হয়। সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মির্জা শামীম হাসান (৩১)। তিনি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার জোরগাছা গ্রামের মির্জা সেলিম রেজার ছেলে।

রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিডিউটার (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারী জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকার বগুড়া অফিসের 'অফিস এক্সিকিউটিভ' পদে কর্মরত ছিলেন। ২০২১ সালের ২০ জুন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তার চরিত্রহনন করে ইমেইল বার্তা পাঠান ওই অফিস প্রধানের কাছে। একই মেইল তিনি বগুড়ার অন্যান্য সাংবাদিকদের ইমেইলেও পাঠান। এ ঘটনায় তার সম্মানহানি হয়। পরে তিনি এ ঘটনায় অজ্ঞতনামা আসামি করে সংশ্লিষ্ট ইমেইলটি যুক্ত বগুড়া সদর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

পরে পুলিশ তদন্ত করে এ ঘটনার মূল অপরাধী হিসেবে মির্জা শামীম হাসান হাসানকে শনাক্ত করে। পরে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এরপর তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিলে আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এরপর পৃথক দুইটি ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড।

বাংলাদেশ: ১৬১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এসএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।