ঢাকা: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের মামলা চলাকালে দ্বিতীয় দিনের মতো আইনজীবীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৩১ মে) দুপুর আড়াইটার পর থেকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মহানগর আদালতের সামনে অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।
ঘটনার সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এরপর বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সেখান থেকে চলে যান।
এদিন সাক্ষ্য দেন ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শাহ আলম। এ নিয়ে মামলাটিতে মোট ৫৬ জন সাক্ষীর ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন রেখেছেন আদালত।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। এরপর গত ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়৷ ওইদিন আদালতে জবানবন্দি দেন মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহুরুল হুদা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
গত বছর এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
কেআই/জেডএ