ঢাকা: ধর্ম অবমাননা ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আলোচিত সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এই রায়ের আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বাংলানিউজকে বলেন, এই মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কোনো সাক্ষী না আসায় আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি ২৬৫ (ঝ) ধারায় তাকে মামলা থেকে খালাস দেন।
গত বছর ২৩ নভেম্বর এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
একই বছর ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রক্ষচারী প্রতিবেদন দাখিল করেন। যাতে সিফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ওই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ফেসবুক লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে কথা বলছেন এবং আল কোরআনকে অবমাননা করছেন, যা সমগ্র ইসলামী বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
এছাড়া এ আসামি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন।
উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাত উল্লাহ সেফুদা বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার চেরিয়ারা গ্রামের মৃত আলী আকবর মজুমদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অবস্থান করে ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতি, ধর্মসহ বিভিন্ন বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রচার করে ভাইরাল হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৩
কেআই/এএটি