ঢাকা: দেশে হৃদরোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত সবচেয়ে আধুনিক স্টেন্টের (হার্টের রিং) ‘বৈষম্যমূলক’ দাম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৪ ধরনের হার্টের রিংয়ের দাম কমল
এর আগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশে হার্টের রিংয়ের দাম ঠিক করে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এ বৈষম্যমূলক দামে অসন্তুষ্ট হয়ে ওশান লাইফ লিমিটেডসহ ১১টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যে দাম নির্ধারণ করেছে, তা বৈষম্যমূলক। এর ফলে চারটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যদের জন্য যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, তারা ওই দামে হার্টের রিং আমদানিই করতে পারবে না। ফলে বাজারে কেবল টিকে থাকবে চারটি প্রতিষ্ঠান। এতে বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি হবে। সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। আশা করছি, বিবাদীরা যথাসময়ে রুলের জবাব দেবেন।
তিনি আরও বলেন, আবেদনকারী ১১টি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করার অধিকার রয়েছে। বৈষম্যমূলক দামের কারণে আবেদনকারীরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। একই সঙ্গে যাদের হার্টের রিংয়ের প্রয়োজন, তাদের অতি উচ্চমূল্যে রিং কিনতে হবে। তারাও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
ইএস/আরএইচ