ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসন (যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুর) নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
ওই আসনে স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী আওলাদ হোসেনের আবেদনে বুধবার (১০ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেন।
ফলে আওলাদের শপথ নিতে আর কোনো বাধা নেই।
আদালতে আবেদনের ওপর শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, গতকালের রিটে আওলাদ হোসেনের শপথের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ওটাকে স্থগিত চেয়ে আজ আওলাদ হোসেন আপিল বিভাগে আবেদন করেন। হাইকোর্টের আদেশটি আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে অবিলম্বে আওলাদ হোসেনের শপথের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এখন শপথ নিতে আইনগত আর কোনো বাধা নেই।
তিনি আরও বলেন, ইলেকশন হয়ে যাওয়ার পরে যেকোনো ডিসপিউট হলে তাকে ট্রাইব্যুনালে যেতে হয়। ওনাকে ইলেকশন পিটিশন ফাইল করতে হবে। সে পথে না গিয়ে তারা রিট দায়ের করেছেন।
ওই আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সানজিদা খানমের রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহার হাইকোর্ট বেঞ্চ গেজেট প্রকাশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
আজ ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন ঢাকা-৪ আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন।
হাইকোর্টে সানজিদা খানমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, মোতাহার হোসেন সাজু ও এবিএম আলতাফ হোসেন।
মঙ্গলবার মোতাহার হোসেন সাজু জানান, অনিয়মের অভিযোগে ১৮ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট চেয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেছিলেন। একটি কমিটি করে সেই আবেদনের ওপর ১০ দিনের মধ্যে ইনকোয়ারি করতে বলা হয়েছে। আর ইনকোয়ারি রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছেন। এ সময় পর্যন্ত ঢাকা-৪ আসনের নির্বাচনের গেজেট প্রকাশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন। ট্রাক প্রতীক নিয়ে তিনি ২৪ হাজার ৭৭৫ হাজার ভোট পেয়েছেন।
অপরদিকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নিয়ে সানজিদা খানম পান ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট। আর বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৯৮ ভোট।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
ইএস/আরবি
