ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মো. রাকিব হাওলাদারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে চকবাজার থানায় ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় পৃথক আদেশে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
রাকিব হত্যা মামলায় গত ১৪ নভেম্বর সোলাইমান সেলিমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে রিমান্ড ও জামিন শুনানি পরে হবে বলে জানান আদালত। পরে লালবাগ থানার মামলায় আরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুরিশ।
এই দুই মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য বুধবার সোলাইমান সেলিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক লালবাগ থানার মামলায় চার দিন ও চকবাজার থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এক মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সকালে চাঁনখারপুল মোড়ে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে মো. রাকিব হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন।
গুরুতর আহত রাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দেন। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে চকবাজার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৪
কেআই/এমজেএফ