খুলনা: জব্দ করা সোনা আত্মসাৎ ও আসামি ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় খুলনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ স্বর্ণ চোরাকারবারিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, লবণচরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহসান হাবীব, কনস্টেবল মুরাদ ও খালিশপুর এলাকার স্বর্ণ পাচারকারি ব্যাসদেব দে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে লবণচরা থানার পুলিশ তাদের আটক করে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাদের নামে লবণচরা থানায় এসআই মোকলুসুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলার বিষয়টি শনিবার (১৩ জানুয়ারি) নিশ্চিত করেছেন লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, স্বর্ণ পাচারকারিকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯২ ধারায় মামলার পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যাসদেব দে একজন পেশাদার স্বর্ণ পাচারকারি। শুক্রবার দুপুরে তিনি ছয়টি স্বর্ণের বার ভারতে পাচারের জন্য টুঙ্গীপাড়া পরিবহনে সাতক্ষীরাতে যাচ্ছিলেন। ওই পরিবহনটি খুলনার সাচিবুনিয়া মোড়ে থামিয়ে তল্লাশি চালায় অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্য। এক পর্যায়ে পরিবহন থেকে ব্যাসদেব দে নেমে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। তখন তিন পুলিশ তাকে আটক করে ছয়টি স্বর্ণের বারের মধ্যে তিনটি ছিনিয়ে নেন। বাকি তিনটি তাকে দিয়ে দেয় এবং মোটরসাইকেলে তাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ছেড়ে দেয়। ছিনতাই করা তিনটি স্বর্ণ বারের মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন ব্যাসদেব। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই তিন পুলিশ সদস্যকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তখন অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি সাউথ তাজুল ইসলাম বলেন, অপরাধ যেই করুক তাদের কোনো ছাড় নেই। গ্রেপ্তার তিন পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি চোরাকারবারির কাছ থাকা বাকি তিনটি স্বর্ণবার উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪
এমআরএম/এএটি