কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একযুগ আগে সংঘটিত কিশোর গ্যাংয়ের হাতে মিজানুর (১৩) নামে এক কিশোরকে হত্যার দায়ে জাফর ওরফে কালু (২৬) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম লালন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাজাপ্রাপ্ত জাফর ওরফে কালু কুমারখালী উপজেলার বেরকালোয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিমের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৯ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে যেকোনো এক সময়ে আসামি জাফর ওরফে কালু নিহত মিজানুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের ধরে সঙ্গীয় আলম কাজী ও ছালাম নামে অপর দুই কিশোরের সহযোগিতায় হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঘটনাস্থল কুমারখালী উপজেলার পৌর এলাকাধীন দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোমিন খন্দকারের পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে গুম করে রেখে যায়।
মিজানুর নিখোঁজ হওয়া পাঁচদিন পর ঘটনাস্থল থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামরে বাসিন্দা জাকের মণ্ডলের ছেলে তালেব আলী বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর কুমারখালী থানায় কিশোর আলম কাজীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল হক ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম লালন জানান, আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় এবং আসামি জাফর ওরফে কালু প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বৃহস্পতিবার রায় দেন আদালত।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর দুই কিশোর আলম কাজী এবং ছালামের বিচার ইতোমধ্যেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে সম্পন্ন হয়েছে এবং ওই দুই কিশোর বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
এসআরএস