ঢাকা: পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিতে নীতিমালা বা নির্দেশিকা বা যথাযথ আইনি বিধান করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ছয় মাস বয়সী এক শিশু ও তার মায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। গত ৩ জুলাই রিট করেন ওই শিশু ও তার মা ইশরাত হাসান।
তবে শিশুর পক্ষে আইনগত অভিভাবক হিসেবে হলফনামা করেছেন তার বাবা।
রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জন প্রশাসন সচিব, আইন সচিব, সংসদ বিষয়ক সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, শ্রম সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়, নবজাতকের যত্নে কেবল মায়ের ভূমিকা মুখ্য— এই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বাবার ভূমিকাও দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ সীমিত। এছাড়া, সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার আমাদের দেশে অনেক বেশি। সিজারের পর সুস্থ হতে মায়ের সময় লাগে।
এ সময়ে নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায় যারা নতুন বাবা হন, তাদের স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়। বিশ্বের ৭৮টিরও বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে ওই শিশুর বড় ভাই নয় মাস বয়সে কর্মক্ষেত্র, শপিংমল, বিমানবন্দর, বাস স্টেশন, রেলওয়ে স্টেশনসহ জনসমাগম স্থানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছিল। সে রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ২ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
ইএস/আরআইএস