বরিশাল: বরিশালে বিএনপির অফিসে অগ্নিসংযোগসহ তিন মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সাবেক ৯ কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিন শেষে মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন প্রার্থনা করেন তারা।
তিনি জানান, মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় করা পৃথক তিন মামলার আসামি হিসেবে বরিশাল সিটির সাবেক ১০ কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতাকর্মী আদালতে হাজির হন। আদালত সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর মধ্যে নগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সামজিদুল কবির বাবু অসুস্থ হওয়ায় তাকে পরে জামিন দেন।
কারাগারে যাওয়া সাবেক ৯ কাউন্সিলর, ১ নম্বর ওয়ার্ডের আউয়াল মোল্লা, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ শামসুদ্দোহা আবিদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কেফায়েত হোসেন রনি, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খান মোহাম্মদ জামাল হোসাইন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নাল আবেদীন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন রয়েল, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউল হাসান মাসুম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনিচ শরীফ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির।
জিআরও এনামুল জানান, মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে সবাই উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন পান। পুনরায় জামিন নিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিম্ন আদালতে হাজির হন তারা।
কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- হুমায়ুন কবির হাওলাদার, আবুল মীরা, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, হাসান চৌধুরী, জাফর চৌধুরী, ইমরান হোসেন মিন্টু, ফিরোজ মজুমদার, উজ্জ্বল, কামরুজ্জামান, সাইফুল, অপি ও আমির আলী।
বাদী পক্ষের আইনজীবীরা হাফিজ আহমেদ বাবলু জানান, গত ৪ আগস্ট বরিশাল নগরের সদর রোডে জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলাসহ তিন মামলায় মোট ২২ আসামি আদালত হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক আইনজীবীর বক্তব্য শুনে ২১ আসামিকে কারাগারে পাঠান। তবে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেওয়ায় আসামিদের রিমান্ড চায়নি পুলিশ।
বিবাদী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম জানান, তারা এ নির্দেশনার বিপরীতে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২৪
এমএস/আরএইচ