ঢাকা: নন ক্যাডার ৯৯ জন নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দেওয়া কেন অবৈধ ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের ওই তালিকা থেকে রিট আবেদনকারীকে বাদ দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত।
‘পদোন্নতি বঞ্চিত’ এক পুলিশ সদস্যের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও আইনজীবী আমিমুল এহসান জুবায়ের।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন আমিমুল এহসান জুবায়ের।
দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, উপ-সচিব (পুলিশ অ্যাফেয়ার্স-১), পুলিশের মহাপরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (স্ট্যাবলিশমেন্ট), উপ-মহাপরিদর্শক (প্রশাসন), উপ-মহাপরিদর্শক (চট্টগ্রাম), উপ-মহাপরিদর্শক (টেলিকম), সহকারী মহা-পরিদর্শককে (স্ট্যাবলিশমেন্ট) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবীরা জানান, গত ১৬ জুলাই পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) এর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ৯৯ জন নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
ওই পদোন্নতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইউসুফ সিদ্দিকী গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
আবেদনকারীর আইনজীবীদের দাবি, ইউসুফ সিদ্দিকী পদোন্নতির তালিকায় ফিটলিস্টে অনেক এগিয়ে থাকলেও তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু তালিকায় তার নিচে থাকা অনেককে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
ইএস/জেডএস