ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের আপিলের শুনানি পিছিয়ে ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এরশাদের পক্ষে ছিলেন শেখ সিরাজুল ইসলাম।
শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় আমি নতুন আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছি। আগে মামলায় সিনিয়র আইনজীবীরা শুনানি করেছেন। মামলার বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। কিন্তু তিনি গুরুতর অসুস্থ। তাই কথা বলতে পারছিনা। মানবিক কারণে চার সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করছি।
এ সময় আদালত বলেন, তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট হলেও আলাদা কোনো সুযোগ পাবেন না। আইন সবার জন্যই সমান। এটিই আপনাকে শেষ সুযোগ দেওয়া হলো। এরপর আপনাকে আর সুযোগ দেওয়া হবে না।
পরে আদালত দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে ৩০ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১ নভেম্বর শুনানির জন্য ১৫ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এইচ এম এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আপিলে পক্ষভুক্ত হতে দুদকের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন।
দীর্ঘদিন পর এ মামলায় আপিল শুনানির দিন ধার্য করতে ২২ আগস্ট আবেদন করেছিলো দুদক।
এরপর আবেদনটি কয়েক দফা কার্যতালিকায় আসলেও মামলার নথি না আসায় শুনানি শুরু হয়নি।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তত্কালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় মামলাটি করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।
ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এরশাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
ইএস/জেডএস