ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার মামলায় শফিক রেহমানকে বিচারিক আদালতে জামিনের আবেদন করতে হবে। এ আবেদনের পর তার জামিন বিবেচনা করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
শফিক রেহমানকে দেওয়া তিনমাসের জামিনের রায় পুনর্বিবেচনা এবং জামিনের মেয়াদ বাড়াতে করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শফিক রেহমানের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও মো. আসাদুজ্জামান।
পরে মাহবুবে আলম বলেন, জামিনের জন্য এখন শফিক রেহমানকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যেতে হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, গত ৩০ নভেম্বর শফিক রেহমানের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের তিনমাসের জামিনের আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে একটি ও পরে জামিনের মেয়াদ বাড়াতে আরও একটি আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনের নিষ্পত্তি করে শফিক রেহমানকে বিচারিক আদালতে জামিনের আবেদন করতে বলেছেন। এবং এ আবেদন বিবেচনা করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতে এ মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগোযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।
এ মামলায় গত ০৭ জুন শফিক রেহমানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) করে জামিন চান শফিক রেহমান।
গত ২৯ জুন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত শুনানির দিন ১৪ জুলাই ধার্য করে আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এ আবেদনের শুনানি শেষে ১৭ জুলাই শফিক রেহমানের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি শফিক রেহমানের আইনজীবীদের আপিলের সার-সংক্ষেপ তিন সপ্তাহের মধ্যে এবং রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়ার আদেশ দেন। পরে আপিলের ওপর শুনানি শেষে ৩১ আগস্ট রায় দেন আপিল বিভাগ।
রায়ে তিনমাস বা এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা পর্যন্ত শফিক রেহমানকে জামিন দেন সর্বোচ্চ আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
ইএস/এএসআর