ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মওদুদের মামলা নতুন বেঞ্চে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
মওদুদের মামলা নতুন বেঞ্চে

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাইকো দুর্নীতি মামলার বিষয়ে রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সাহা।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি এ মামলার রুল শুনানির জন্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।

 

গত ০৪ জানুয়ারি এ মামলার রুল শুনতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চের বিব্রতবোধের পর মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছিলো।

ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে নাইকো মামলার বিচার কার্যক্রম চলা অবস্থায় মওদুদ আহমদ এ মামলায় আরও কিছু নথি তলব চেয়ে এবং ওয়াশিংটনে নাইকোর বিষয়ে চলা আরবিট্রশেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। গত বছরের ১৬ আগস্ট বিচারিক আদালত এ আবেদন খারিজ করে দেন।

পরে মওদুদ আহমদ এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি আবেদন করেন হাইকোর্টে।

হাইকোর্ট আট সপ্তাহের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন। রুলে ১৬ আগস্টের বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।  

এরপর দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের জারি করা রুল ১৯ জানুয়ারির মধ্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে নিস্পত্তির নির্দেশও দেওয়া হয়।

সে অনুসারে বিষয়টি ওই বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু ০৪ জানুয়ারি ওই বেঞ্চের এক বিচারপতি শুনানি গ্রহণ করতে বিব্রতবোধ করেন। পরে নিয়ম অনুসারে মামলাটি এখন নতুন বেঞ্চে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
 
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, সেনা নিয়ন্ত্রিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ০৯ ডিসেম্বরে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুদক। পরের বছরের ০৫ মে খালেদাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
 
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। মামলা হওয়ার পর খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে গেলে ২০০৮ সালের ০৯ জুলাই দুর্নীতির এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট, সেই সঙ্গে দেওয়া হয় রুল।

প্রায় সাত বছর পর গত বছরের শুরুতে রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নেয় দুদক। রুলের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ১৮ জুন খালেদার আবেদন খারিজ করে মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। ওই রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুসারে গত বছরের ৩০ নভেম্বর জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা।
 
খালেদা ও মওদুদ ছাড়া এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। আসামিদের মধ্যে মিয়া ময়নুল হক, কাশেম শরীফ ও কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী পলাতক রয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।