ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ১ মার্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ১ মার্চ আদালত প্রাঙ্গণে খাদিজা আক্তার নার্গিস/ ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: নিজের ওপর হামলার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে আদালতে বদরুলের  বিচার চাইলেন খাদিজা আক্তার নার্গিস। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেট মহানগর মূখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণের পর আগামী ০১ মার্চ মামলার যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি বদরুলের আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বদরুল আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।

তবে খাদিজার ওপর হামলার সময় বদরুল নেশাগ্রস্ত ছিলেন দাবি করেন তিনি। বিষয়টি আদালত মানবিক বিবেচনায় নিয়ে বদরুলকে খালাস দেবেন বলেও আশাবাদী এই আইনজীবী।

তবে নার্গিসের আইনজীবী আ ক ম শিবলী সাংবাদিকদের বলেন, নার্গিস আদালতে দাঁড়িয়ে তার ওপর নৃশংস হামলার বর্ণনা দেন।

বদরুল পূর্বপরিকল্পিতভাবে খাদিজার ওপর হামলা করেছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, আদালতে তিনি যতোই বাহানা করুন, ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হবে না।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আলোচিত খাদিজা বেগম নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলায় ভিকটিম নার্গিসের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য আমরা আদালতে উপস্থাপন করতে পেরেছি’।

তিনি বলেন, ৩৪২ ধারায় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আদালতের কাছে হামলাকারী বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন ভিকটিম খাদিজা। আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করে ০১ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য্য করেন। আদালত এ মামলায় বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন বলেও আশাবাদী সরকারি এই আইনজীবী।

সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে আদালতে হাজির হন নার্গিস। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে বদরুলকে আদালতে হাজির করা হলে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে ১২টা ৩৩ মিনিটে শেষ হয়।

গত বছরের ০৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে হামলার শিকার হন সরকারি মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস। প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) এখনও তার চিকিৎসা চলছে। তবে অনেকটা সুস্থ থাকায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
এনইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।