ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারের রায় যেকোনো দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৭
কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারের রায় যেকোনো দিন

ঢাকা: কিশোরগঞ্জের সৈয়দ মো. হোসাইন ও মো. মোসলেম প্রধানের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) এ আদেশ দেন।  

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।

আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। মোসলেম আটক থাকলেও হোসাইন পলাতক রয়েছে।

এর আগে গত বছরের ০৯ মে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হরি দেবনাথ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ মাস ২৫ দিন তাদের অপরাধের তদন্ত করেন।
 
তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে মূল একশ’ ৬১ পৃষ্ঠার সঙ্গে সর্বমোট চারশ’ ৩৯ পৃষ্ঠার নথিপত্র রয়েছে। প্রতিবেদনে ৬০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচি এবং ঘটনাস্থলের স্থিরচিত্র দাখিল করা হবে প্রসিকিউশনে।
 
দুই জনের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার আনা অভিযোগগুলো হলো-

এক. নিকলীর দামপাড়া গ্রাম ও নিকলী থানা ভবন, সদরের মহাশশ্মান এলাকায় ৭১ সালের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হোসাইনের বিরুদ্ধে ছয় নারীকে ধর্ষণ, সুধীর সূত্রধরসহ ৩৫ জনকে হত্যা ও বাদল বর্মনসহ চারজনকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
 
দুই. নিকলী বাজার ও থানা কম্পাউন্ড এলাকায় হোসাইন ও মোসলেম প্রধানের নেতৃত্বে ৭১ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত কাশেম আলীসহ চারজনকে আটক ও নির্যাতন।
 
তিন. নিকলীর গুরুই গ্রামের পূর্বপাড়ায় ৭১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ফুল মিয়াসহ ২৬ জনকে হত্যা এবং ২৫০টি বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
 
চার. নিকলীর নানশ্রী গ্রামে ৭১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তোফাজ্জল খান জিতুসহ সাতজনকে অপহরণসহ নির্যাতনের অভিযোগ হোসাইনের বিরুদ্ধে।
 
পাঁচ. হোসাইন ও মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে ৭১ সালের ১০ অক্টোবর নিকলী সদরের পূর্বগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল মালেকের নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
 
ছয়.৭১ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল জাহান ও মো. সেলিমকে হত্যা করে তাদের মরদেহ রাজাকার হোসাইন কিশোরগঞ্জ পৌরসদর, প্যারাভাঙা ও শোলাকিয়ায় রিকশা দিয়ে ঘুরিয়েছিলেন। এবং মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল জাহানের মাকে তার ছেলের রক্ত দেখিয়ে বিভৎসতা প্রর্দশন করেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৭
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।