ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এমপি রানাকে ধার্য দিনে বিচারিক আদালতে হাজির করতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
এমপি রানাকে ধার্য দিনে বিচারিক আদালতে হাজির করতে হবে

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার ধার্য দিনে আসামি টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে বিচারিক আদালতে হাজির করতে বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত  মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) করেছেন।

ফলে চেম্বার আদালতের দেওয়া জামিনের স্থগিতাদেশ আরও বাড়লো এবং ওইদিন পর্যন্ত তিনি জামিন পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার (২৩ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রানাকে ধার্য দিনে বিচারিক আদালতে হাজির করতে বলেন কারা কর্তৃপক্ষকে।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, এমপি রানাকে ধার্য দিনে বিচারিক আদালতে হাজির করা হয় না। এর প্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। এমপি রানার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।

কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর গত ১৩ এপ্রিল জামিন মেলে এমপি রানার। বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ'র হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে গত ১৮ এপ্রিল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ০৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে একই দিন শুনানির দিন ধার্য করেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত। এর আগে ১৬ এপ্রিল তিনদিনের জন্য জামিন স্থগিত করে ১৮ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন চেম্বার আদালত।

০৮ মে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ আবেদনটির শুনানি চারমাসের জন্য মুলতবি ও ছয়মাসের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।  

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এমপি রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত।

বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।

পরে আবারও জামিনের আবেদন জানালে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

বিচারিক আদালতে নাকচের পর হাইকোর্টে রানার জামিনের আবেদন জানানো হয়। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হক এবং ২৮ নভেম্বর সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ এ আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। ০৯ অক্টোবর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চও এ আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

গত ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমপি রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। গত ৩০ মার্চ তার জামিন প্রশ্নে রুলটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ মামলায় গত ০৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।