মামলায় অপর আসামি রানু মিয়ার পৃথক ধারায় (ধারা: ৩২৩ ও ৪২৭) ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল সোয়া ৪টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা মো. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামরুল গোলাপগঞ্জ উপজেলার মেহেরপুরের মৃত ফারুক মিয়ার ছেলে। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি রানু মিয়া একই গ্রামের মুহিবুর রহমানের ছেলে।
মামলা থেকে দুই নারীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন-মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কামরুলের মা মনোয়ারা বেগম ও রানু মিয়ার স্ত্রী আয়শা বেগম।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় ১৬ সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার ভিত্তিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে কামরুল ও তার সহযোগীরা বাড়ির আঙিনায় রুবেল আহমদ (২২) ও ফানু মিয়াকে (৩৫) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন। এ ঘটনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি নিহতদের বোন নাজিরা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করেন, আসামি কামরুল ইসলাম তার ভাবি নাজমা আক্তারকে কুপ্রস্তাব দিতেন। এরই জের ধরে তাকে শাসালে ক্ষিপ্ত হয়ে সহযোগীদের নিয়ে হামলা করে এবং তার দুই সহোদরকে কুপিয়ে খুন করেন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে গোলাপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান ওই বছরের ২০ জুন চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় বিচার কার্য শুরুর পর র্দীঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
এনইউ/এএটি