বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।
এ নিয়ে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট আটজন আদালতে সাক্ষ্য দিলেন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের মোট সাক্ষী সংখ্যা ৩৪ জন। গত ২৮ অক্টোবর এই মামলায় অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সদ্যপ্রয়াত অধ্যাপক অজয় রায়ের জবানবন্দি দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন জব্দ তালিকার সাক্ষী মাসুদর রহমান নামে আরেকজন সাক্ষ্য দেন।
এরপর গত ১৮ নভেম্বর জব্দ তালিকার সাক্ষী সেলিম ও সঙ্গীয় ফোর্সের পুলিশ কনস্টেবল নুরুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দেন। সবশেষ গত ২ ডিসেম্বর টিএসসির দুই চা দোকানদার আব্দুল মালেক ও মো. হাবিব এবং ঘটনার দিন অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসা ঢাকা কলেজের সাউথ হলের শিক্ষার্থী আমিনুজ্জামান সাক্ষ্য দেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমুম, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম, শফিউর রহমান ফারাবী, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান। এদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম পলাতক।
গত ১৩ মার্চ আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর গত ১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে অভিজিৎকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় পরে অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে ছেলে হত্যার বিচারের আকুতি থাকলেও তার আগেই গত সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) না ফেরার দেশে চলে যান প্রতিথযশা অধ্যাপক অজয় রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
কেআই/জেডএস