ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মিতু হত্যার অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
মিতু হত্যার অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে

ঢাকা: সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তদন্তের লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) এ তথ্য জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে ৪ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

ওই মামলার কারাবন্দি আসামি মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিমের জামিন শুনানিকালে গত ২ ডিসেম্বর অগ্রগতি প্রতিবেদন ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে আদেশ দেন। আর জামিন আবেদন ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছিলেন।

সে অনুসারে ২৮ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

আসামি মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর এলাকার আবদুন নবীর ছেলে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম নামে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।  
 
এ হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয় যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল তখন।

গ্রেফতার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মূছার।

মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশারফ হোসেন মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারকে দায়ী করেন। তিনি তদন্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগের সাপেক্ষে বেশ কিছু ক্লু দেন বলে জানান মোশারফ হোসেন।

২০১৭ সালের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার কোনো কূল-কিনারাও করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত মামলাটির তদন্তভার ‘আদালতের নির্দেশে’ গত জানুয়ারিতে চলে যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই)।

***মিতু হত্যার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।