ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ভুয়া কোম্পানি খুলে অর্থ আত্মসাৎ: ১০ জন রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১
ভুয়া কোম্পানি খুলে অর্থ আত্মসাৎ: ১০ জন রিমান্ডে

ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় মাহিয়া ফাউন্ডেশন নামে একটি ভুয়া কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেড় কোটি হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এ নিয়ে হওয়া মামলায় ওই প্রতারক চক্রের ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এদিন বাড্ডা থানার পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।  

রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তার (৩৫), আহম্মদ আলী (৫০), মেহেদী হাসান (৫০), মিজানুর রহমান (৫৪), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩১), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩১), মেহেদী হাসান (২৬), গোলাম রায়হান (২৬), মনির উদ্দিন খালেদ (৪৪) এবং নিগার উম্মে সালমা (৪২)।  

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রাজধানীর বাড্ডা ধানাধীন এলাকায় 'নুর টাওয়ার আফতাবনগর ২৯/৩১, লেবেল-৮, ফ্লোর ৯ এফ' এর অফিস কক্ষের ভেতরে মাহিয়া ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠানে আসামিরা বিভিন্ন জেলার শিক্ষিত বেকার যুবকদের উচ্চ বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চার মাস ধরে বায়োডাটা সংগ্রহ করে। ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলার মাহিয়া ফান্ডেশনের উখিয়ার শাখার মনির উদ্দিন খালেদ এবং তার স্ত্রী নিগার উম্মে সালমা চাকরি বায়োডাটা সংগ্রহ, মাহিয়া ফান্ডেশনে চাকরি দেওয়ার নামে প্রত্যেকের কাছে ৬৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে। ৫০ হাজার টাকা চাকরি চলাকালে ফেরত দেবে বলে আশ্বাস দেয়। বাকি ১৫ হাজার টাকা ঘুষ হিসাবে নেয়, সেগুলো অফেরৎযোগ্য। এরপর যারা টাকা দেন তাদের বৈচিত্র ফান্ডেশন নামে ভুয়া আইডি কার্ড দেয় মাহিয়া ফান্ডেশন।  

আসামিরা ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে মাসিক বেতন নির্ধারণ করেন ৩০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে বাদী বেতনের টাকা তুলতে গেলে উখিয়ায় শাখায় যোগাযোগ করতে বলে। উখিয়ায় শাখায় যোগাযোগ করলে কোম্পানির অফিস তালাবন্ধ করে আসামিরা পলায়ন করে।  

এজাহারে আরও বলা হয়, মাহিয়া ফান্ডেশনের প্রতারণার ফাদ হিসাবে অনলাইন প্লাটফর্ম বিডিজবস ওয়েবসাইটে বিভিন্ন অকর্ষণীয় উচ্চতর বেতনের ৫১০ জন লোক নিয়েগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। মাহিয়া ফান্ডেশনে আসামিরা ৭০০০ লোকের সিভি সংগ্রহ করে। আসামিরা প্রায় ১০০ লোকের নিকট হতে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এই ঘটনায় এ এম এইচ শওকত রেজা নামে এক ভুক্তভোগী বাড্ডা থানায় প্রতারণার অভিযোগে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।