ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা, বান্ধবী রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা, বান্ধবী রিমান্ডে

ঢাকা: রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় নিহতের বান্ধবী ফারজানা জামান নেহার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এই আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার রাতে নেহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক আসামি নেহাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, আসামি ভিকটিমকে দাওয়াত করে নিয়ে মদপান করিয়ে ধর্ষণে সহযোগিতা করেন। নেহা ঘটনার মূলহোতা। মামলা এখনও রহস্যে ঘেরা। মদ থেকে সবকিছু শুরু, যার কারণে তাকে অকালে মারা যেতে হলো। মেয়েকে নিয়ে বাবার স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে। নেহা কোনোভাবে ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। সে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তার রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম (লিটন) রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত নেহার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৩১ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীর (২১) এর পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বৃহস্পতিবার সাফায়েত জামিল নামে এক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৩১ জানুয়ারি চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।

মামলার এজহারে আরও বলা হয়, মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিলেন।

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ওই তরুণী মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।