ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রায় শুনে কাঁদলেন দীপনের স্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
রায় শুনে কাঁদলেন দীপনের স্ত্রী দীপন হত্যা মামলার রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর এজলাসেই কেঁদে ফেলেন তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আরও দুই স্বজন।

এজলাসের বাইরে বের হয়েও দীপনের স্ত্রীকে কাঁদতে দেখা যায়। তবে আদালত থেকে বেরিয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি। তার স্বজনরা জানান ফেসবুকের মাধ্যমে তিনি প্রতিক্রিয়া জানাবেন।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলায় আট আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব।

এর মধ্যে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব পলাতক। কারাগারে থাকা সব আসামিই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

রায় উপলক্ষে সকাল সাড়ে আটটার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে গ্রেফতার ছয় আসামিকে আদালতে আনা হয়। এ সময় তাদের কোর্ট হাজতে রাখা হয় বলে জানান সিএমএম আদালতের হাজতের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টার একটু আগে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩১ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুবৃত্তরা। ওই দিনই তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে‌ট আদালতে দীপন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। অভিযোগপত্রে ৮ জনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

২০১৯ সালের বছর ১ ডিসেম্বর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সেদিন মামলার বাদী ও দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান ও জব্দ তালিকার সাক্ষী আজিজ সুপার মার্কেট কো-অপারেটিভ মালিক সমিতির অফিস সহকারি আনোয়ার হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দেন। মামলায় ২৬ সাক্ষীর ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এরপর গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান তারা। এরপর রোববার আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে রায়ের জন্য এই দিন ধার্য হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।