ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পঞ্চগড়ে গ্রাম আদালত আইন-জেন্ডার সংবেদনশীলতার অবহিতকরণ সভা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
পঞ্চগড়ে গ্রাম আদালত আইন-জেন্ডার সংবেদনশীলতার অবহিতকরণ সভা  অবহিতকরণ সভা। ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: গ্রাম আদালত আইন ও জেন্ডার সংবেদনশীলতা সম্পর্কে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাবিনা ইয়াসমিন। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প এ অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান, এডিম সরকার মো. রায়হান, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর আমির হোসেন, পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আওরঙ্গজেব, মিরগড় এলাকার উপকারভোগী ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।  

গ্রাম আদালত আইন ও জেন্ডার সংবেদনশীলতা, প্রকল্পের জেলা পর্যায়ের কার্যক্রম, সাফল্য, স্থানীয় গণমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। গ্রাম আদালত আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে বিষয়ের ওপরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।  

পঞ্চগড়ের ০৫ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চলছে। এ পর্যন্ত ১২ হাজার ২৪০ ট মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে ৫১৩টি মামলা গ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলাগুলোও নিষ্পত্তি করা হয়েছে।  

বর্তমানে ৬৯টি মামলা চলমান রয়েছে। এ মামলাগুলোও নিষ্পত্তি করা হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ৩ হাজার ৭৫০ শতক জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৮১ লাখ ৫১ হাজার ৫৪ টাকা।  

এসব মামলায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮৯ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। গ্রাম আদালতে মামলাগুলোতে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

প্রধান অতিথি ডিসি সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ছোট-বড় অপরাধ নিরশনের জন্য গ্রাম আদালত আইন-২০০৬ সালে গঠিত হয়। এ গ্রাম আদালতে দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তি করা যায়। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এখানে আইনজীবী নিয়োগ করতে হয় না। বাদীর কথা বাদী নিজেই বলতে পারেন। গ্রাম আদালতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট বিচারকের প্যানেল করা হয়। এতে বাদী বিবাদীর সদস্যসহ চেয়ারম্যানের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠন করা হয়। এতে বাদীর সময় ও অর্থ দু’টিরও অপচয় কম হয়। স্বল্প খরচে অল্প সময়ের মধ্যেই সঠিক বিচার পাওয়া যায়। বাদী-বিবাদী এতে সমান সুবিধা পাবেন। নিজ ইউপিতেই সমাধান পাওয়া যায়। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিরোধ বা সমস্যার সমাধান হয়, কিন্তু বিরোধ থেকে বড় ধরনের বিরোধ দেখা দেয় না। যে কোনো ব্যক্তি সরাসরি গ্রাম আদালতে গিয়ে তার অভিযোগ জানাতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।