ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গ্রাম আদালতের কার্যক্রমে কমবে মামলার জট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
গ্রাম আদালতের কার্যক্রমে কমবে মামলার জট

বাগেরহাট: বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো বিবাদে গ্রাম্য সালিশ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে যারা সালিশদার বা সালিশ-মীমাংসা করেন তারা অনৈতিক সুবিধা প্রদানের জন্য বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকেন।

এর ফলে সমাজে গ্রাম্য সালিশদারদের প্রতি আস্থা কমেছে। এতে করে আদালতে প্রচুর পরিমাণ মামলা করা শুরু করেছে মানুষ। দেশের প্রতিটি আদালতে মামলার জট রয়েছে। তবে স্থানীয়দের ছোট খাটো বিবাদ এখন ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে।

প্রতিবছর গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি হওয়া মামলায় বিপুল পরিমাণ জনগণ উপকৃত হচ্ছে। দিন দিন গ্রাম আদালতে মামলার পরিমাণও বাড়ছে। এর ফলে দেশের মূল আদালতগুলোতে মামলা জট কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক। স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পালের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দার, কঞ্জুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাগেরহাটের সভাপতি বাবুল সরদার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা আক্তার, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলেটেটর মহিতোষ কুমার রায়, রুপান্তরের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর আলমগীর হোসেন মীরুসহ জেলার ছয়টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পটি বাগেরহাটের চিতলমারী, ফকিরহাট, কচুয়া, মোংলা, রামপাল ও শরণখোলা উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নে কাজ করছে। ৪২টি ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ হাজার ৬১৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৫০৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ১০৭টি মামলা চলমান রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।