ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সেই শুকুর আলীর দণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২১
সেই শুকুর আলীর দণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া স্থগিত

ঢাকা: ২০০৪ সালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগরে সাবিনা (১৩) নামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (৭ নভেম্বর) চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান রায় কার্যকর প্রক্রিয়া স্থগিত করে ১৬ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে শুকুর আলীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।

তিনি জানান, গত ১৮ আগস্ট শুকুর আলীকে হাইকোর্টের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। এখনও ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়নি। রায় প্রকাশ হলে তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে রায় কার্যকরের তোড়জোড় শুরু হওয়ায় এই আবেদন করা হয়েছে। আদালত ফাঁসির রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে ১৬ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন ।

জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ঝনুর মেয়ে সাবিনা (১৩) প্রতিবেশির বাড়িতে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করে। এরপর লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে তাকে হত্যা করে।

পরদিন সাবিনার বাবা আব্দুল মালেক ঝনু বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।

এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন। তারা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নুরুদ্দিন সেন্টু, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে মামুন হোসেন।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এর মধ্যে কামু ওরফে কামরুল মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা আপিল করেন।

১৮ আগস্ট রায়ে আপিল বিভাগ শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। অন্য তিন আসামি নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। এছাড়া তাদেরকে কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তর করতে নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২১
ইএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।