ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাগেরহাটে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২১
বাগেরহাটে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সিরাজুল ইসলাম মিয়া

বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপালে আলমগীর হোসেন (২২) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে মো. সিরাজুল ইসলাম মিয়া (২৮) ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগমকে (২৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক তপন রায় এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে আদালত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।   রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সিরাজুল ইসলাম মিয়া আদালতে উপস্থিত থাকলেও স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম পলাতক রয়েছেন।

 সিরাজুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর উপজেলার জগীহদা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবারণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় আলমগীর নামে এক যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সিরাজুলইসলাম ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম। পরবর্তীতে আলমগীরের মরদেহ পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেয় তারা। এ ঘটনায় নিহত আলমগীরের বাবা রামপাল উপজেলার মালিডাঙ্গা গ্রামের মোশারেফ হোসেন বাদী হয়ে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পরের বছরের ২৪ মার্চ রামপাল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ইমারত শেখ হত্যা মামলায় সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী  সাবিনাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন। বিচারিক আদালত মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে  যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

হত্যার কারণ সম্পর্কে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলামের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পারগোবিন্দপুর গ্রামের গনি শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকনে সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম। সিরাজুলের অনুপস্থিতে তাদের পূর্ব পরিচিত আলমগীর শেখ সাবিনাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সাবিনা বেগম স্বামী সিরাজুলকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে দুজনে কৌশলে আলমগীরকে ডেকে এনে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী দুইজনই গ্রেফতার হলে উচ্চ আদালতের জামিনে বের হন স্ত্রী সাবিনা। তারপর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সীতারানী দেবনাথ ও এপিপি শরৎচন্দ্র মজুমদার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মিহির কুমার দেবনাথ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ০৯ নভেম্বর, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।