ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘ফাঁসির দণ্ড দেওয়ার আগে ১০ বার চিন্তা করি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
‘ফাঁসির দণ্ড দেওয়ার আগে ১০ বার চিন্তা করি’

ঢাকা: যে কোনো মামলায় আসামিকে সর্বোচ্চ দণ্ড ফাঁসি দেওয়ার আগে অন্তত ১০ বার চিন্তা করেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

বুধবার (১০ নভেম্বর) আপিল বিভাগে এক মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।

চুয়াডাঙ্গায় একটি হত্যা মামলায় ঝড়ু ও মকিম নামের দুই আসামির নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগে তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

তবে ওই দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি বলে ৪ নভেম্বর জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, তাদের যে জেল আপিল ছিল, তা সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্টে শুনানি হয়ে ২০১৬ সালে ডিসমিসড হলো। এরপর রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষার আবেদন করলেন, সেটিও ডিসমিসড হলো। আপিল এবং প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবে দণ্ড কার্যকর করা হলো। কিন্তু আইনজীবীর উচিত ছিল, জেল আপিলের সঙ্গে নিয়মিত আপিল ট্যাগ করে উপস্থাপন করা। তাহলে এ সমস্যা হতো না।

শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, এই কোর্টের ওপর এমন একটা ব্লেইম (অভিযোগ) আসে। এটা বিরাট বিব্রতকর কোর্টের জন্য। আমরা প্রত্যেকটা ফাঁসি দেওয়ার আগে ভালো করে দেখি। ফাঁসি দেওয়ার আগে আমরা কম করে হলেও ১০ বার চিন্তা করি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, আমাদের এই ক্ষেত্রে একটু চাওয়া হলো—আমাদের হয়তো আরও সতর্ক হতে হবে। এ বিষয়ে একটা গাইডলাইন দিলে ভালো হয়।

এরপর আদালত ওই দুই আসামির নিয়মিত আপিল অকার্যকর বলে খারিজ করে দেন। পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ বিষয়ে গাইডলাইন থাকবে বলে জানিয়ে দেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।