ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ইউপিডিএফের সভাপতিসহ ২৭ নেতাকর্মীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
ইউপিডিএফের সভাপতিসহ ২৭ নেতাকর্মীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ 

রাঙামাটি: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের  (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসাসহ দলের ২৭ নেতাকর্মীকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  

বুধবার  (১০ নভেম্বর) রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক পত্রিকায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

 

২৭ নেতাকর্মী হলেন-ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসা  (৫৪), রঞ্জন মনি চাকমা জেনিট  (৫২), সবিচ চাকমা সজল সুকর্ণ  (৫৭), শান্তিদেব চাকমা সানি  (৫০), সুমেট চাকমা (৪৫), উদয় শংকর চাকমা (৫২), প্রমোদ বিকাশ খীসা (৫৩), অমর জীবন চাকমা (৫৫), সর্বানন্দ চাকমা মকানন্দ (৪১), কানন কুসুম চাকমা (৪৭), রবিচন্দ্র চাকমা (৪৮), বিমল চাকমা উদয় (৫০), সুবিকাশ চাকমা (৩৭), সুজন মনি চাকমা (৩২), মধুরঞ্জন চাকমা (৪৮), অনিল চাকমা (৩০), সুপন চাকমা সুশীল জীবন (৫২), জ্যোতিলাল চাকমা (৫২), বিদ্যাময়ী ডিএম (৪০), অমর কান্তি চাকমা (৫০),কালামনি চাকমা (৩০), বৌধিসত্য চাকমা রিচার্জ (৪৪), বাবুল চাকমা (৩৫), তুষাণ চাকমা (৩০), সুশীল চাকমা (৩০), রহিম চাকমা (২৫) ও বিবিদ রতন চাকমা (২২)।

আত্মসমর্পণ না করলে তাদের অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে। ২০১৮ সালে ২৬ এপ্রিল নানিয়ারচর থানায় কালুময় চাকমা হত্যার অভিযোগে ২৭ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।

আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ‘তফসিলভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হইয়াছে এবং ফৌজদাদি কার্যবিধি ১৮৯৮এর ৮৭ ও ৮৮ ধারার বিধানমতে আসমিদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম গ্রহণ করা হইয়াছে সেহেতু এ আদালতে এরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে যে এ আসমিগণ গ্রেফতার এবং বিচার এড়ানোর জন্য পলাতক রহিয়াছেন বা আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তাহাদের আশু গ্রেফতার হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই, সেহেতু ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৩৩৯বি (১) ধারা মতে নিম্ন তফসিলভুক্ত আসমিগণকে এ আদেশ পত্রিকায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হইবার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইল। ব্যর্থতায় আসমিদের অনুপস্থিতিতে বিচার অনুষ্ঠিত হইবে। ’

নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন হালদার বলেন, ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল কালুময় চাকমাকে তার নানিয়ারচরের বাসা থেকে তুলে নেয় সন্ত্রাসীরা। পরে বাথছড়ি শ্মশান থেকে কালুময় চাকমার দাহ করা লাশ উদ্ধার করা হয়। কালুময় চাকমার হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায়ে অ্যাডমিশন চাকমা বাদী হয়ে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার দায়েরের পর তাদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আদালতেও তারা আত্মসমর্পণ না করায় পরে আদালত তাদের নিয়ম অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।