ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাবাসহ সেই শিশুকে রোববার হাজিরের নির্দেশ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
বাবাসহ সেই শিশুকে রোববার হাজিরের নির্দেশ 

ঢাকা: বাংলাদেশি সানিউর টি আই এম নবী ও ভারতীয় নারী সাদিকা শেখের তিন বছরের সন্তানকে বাবাসহ রোববার (২১ নভেম্বর) হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পুলিশের ঢাকা মহানগর কমিশনার ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ওইদিন বিকেল ৩টার মধ্যে এ আদেশ প্রতিপালন করতে হবে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ওই শিশুকে বিদেশ নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

সাদিকার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও আইনজীবী কাজী মারুফুল আলম।

এর আগে এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট ওই শিশুকে আপাতত মায়ের জিম্মায় দেন। আর বাবা সপ্তাহে তিন দিন শিশুর সঙ্গে সময় কাটাতে পারবে বলে আদেশ দেন।

কাজী মারুফুল আলম বলেন, ওই আদেশের পর শিশুর কথা চিন্তা করে গুলশান ক্লাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে শিশুটির মায়ের বিরুদ্ধে জিডি করেন বাবা। জিডি মূলে নন এফআইআর মামলাও হয়। আর কৌশলে শিশুটিকে নিয়ে যায় বাবা। বিষয়টি আদালতে জানালে সোমবার (১৫ নভেম্বর) হাইকোর্ট শিশুটিকে সকাল ১০টার মধ্যে আইনজীবীর চেম্বারে হাজির করতে বলেন। কিন্তু শিশুটিকে হাজির করেনি তারা। তাদের আইনজীবী জানান-শিশুটির বাবা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগও করেননি। এ কারণে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নিজেকে এ মামলা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

এ কারণে আমাদের আবেদনে শিশুটিকে বিদেশ নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বুধবার (১৭ নভেম্বর) এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল।  

আজ আদালত ওই শিশুকে বাবাসহ রোববার (২১ নভেম্বর) বিকেল তিনটার মধ্যে আদালতে হাজির করাতে পুলিশের ঢাকা মহানগর কমিশনার ও গুলশান থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান কাজী মারুফুল আলম।

গত ২৬ আগস্ট আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালে হায়দরাবাদের সাদিকা শেখ নামে এক নারীকে বিয়ে করেন বারিধারার সানিউর টি আই এম নবী। বিয়ের পর তারা মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বসবাস শুরু করেন। কয়েক মাস পর তারা ঢাকায় ফিরে আসেন।

এরইমধ্যে ওই দম্পতির এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু করোনাকালে তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়। এমনকি ভারতের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাদিকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বিষয়টি ভারতে মেয়েটির আত্মীয়-স্বজনরা জানতে পারেন। এরপর ওই দেশ থেকে তাদের পরিবারের পক্ষে প্রথমে ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হয়। তারপরও বিষয়টি সমাধান হয়নি। পরে সাদিকার বোন মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) কাছে আইনি সহায়তা চান। এর মধ্যে সাদিকাকে ডিভোর্স দেয় নবী।

পরে একটি মানবাধিকার সংগঠন হাইকোর্টে রিট করে। হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৬ আগস্ট মাসহ শিশুটিকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। হাজিরের পর ওইদিন শিশুটিকে মায়ের জিম্মায় দিয়ে বাবাকে সপ্তাহে তিন দিন দেখা করার সুযোগ দেন।   

বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।