ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় শিক্ষকের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় শিক্ষকের যাবজ্জীবন ...

বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে  ধর্ষণের মামলায় সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মাদরাসা ছাত্রী বরগুনা সদরের কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের একটি দাখিল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ক্লাস চলাকালীন ওই ছাত্রীকে গাইড বই দেওয়ার কথা বলে মাদরাসার পেছনের একটি পরিত্যক্ত ঘরে ডেকে নেয় অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। এরপর সেখানে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সহপাঠি ও স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

একই দিন ভুক্তভোগী মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় এবং দুদিন পর বরগুনা নারী শিশু আদালতে সাইফুল ইসলাম, ইব্রাহীম খলিল ও রশিদা বেগমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এরপর মঙ্গলবার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ১ নম্বর আসামি সাইফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।  

এছাড়া ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অপর দুই আসামি খলিল ও রশিদা বেগকে খালাশ দেন আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন মোল্লা বলেন, আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান জানিয়েই আমি আমার মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আসরাফুল আলম শিল্পী বলেন, শিক্ষকরা জাতির বিবেক। সেই শিক্ষকের কাছে যদি শিক্ষার্থীরা নিরাপদ না থাকে তাহলে কোথায় যাবেন। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি আলোচিত মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এই রায়টি ধর্ষণকারীদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।