ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ওয়াসিম হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
ওয়াসিম হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ...

ঢাকা: সাত বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আগানগর বাঁশপট্টি এলাকায় ওয়াসিম নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যার দায়ে চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক ফাইজুন্নেছা এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল বাতেন, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আলম, পলক রহমান ওরফে ডেঞ্জার সাগর ও পাপ্পু।

আসামিদের মধ্যে আব্দুল বাতেন ও পলক কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম দস্তগীর এসব তথ্য জানান।

২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আগানগর বাঁশপট্টি এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পাওয়ার স্টেশনের পিছন থেকে জবাই করা অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে মরদেহের পরিচয় এবং হত্যার কারণ উদঘাটন করে। আসামিদের গ্রেফতার করে।

আসামিরা জানায়, বাঁশ ব্যবসায়ী আলমকে ক্লাব থেকে বের করে দেন ভিকটিম ওয়াসিম। এ নিয়ে গণ্ডগোল ও মনোমালিন্য চলছিল। এ কারণে ওয়াসিমকে হত্যা করার জন্য আলম বাতেনের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে। সে অনুযায়ী ২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল পলক ও সজীব বাঁশপট্টি দালানের সিলভারের মিলের কারখানায় বসে থাকে। বাতেন ও পাপ্পু ওয়াসিমকে বাবুবাজার ব্রিজের ওপর থেকে ডেকে পলাশের কারখানায় নিয়ে যায়। ওয়াসিম আসার সঙ্গে সঙ্গে সজীব, পাপ্পু, বাতেন ওয়াসিমকে ধরে রাখে। পলক গেঞ্জি দিয়ে তার মুখ, হাত, পা বেঁধে ফেলে। পরে তারা সবাই মিলে ওয়াসিমকে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করে। সজীব শিশু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আইনে চার্জশিট দেওয়া হয়।

গত বছর ২৪ জানুয়ারি চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। আর সজীবের মামলাটি শিশু আদালতে বিচারাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
কেআই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।