ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সুনামগঞ্জে হত্যার দায়ে ১ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
সুনামগঞ্জে হত্যার দায়ে ১ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন 

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় দুলা মিয়া (২৬) হত্যা মামলায় এক আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিউদ্দিন মুরাদ এ রায় দেন।

 

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হীরা মিয়া ওরফে ইজাজুল উপজেলার সম্ভুপুর গ্রামের রহিদ উল্লার ছেলে। আমৃত্যু কারাদণ্ড ছাড়াও তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-উপজেলার দাওরাই গ্রামের মসকদ উল্লাহর ছেলে আব্দুল মন্নাফ, একই গ্রামের আমরু মিয়ার ছেলে কয়েছ, নেছাওর, নূর হোসেন ও রৈফত উল্লাহর ছেলে মসকুর। তাদের মধ্যে নূর হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ২৪ নভেম্বর গ্রামের ডোবায় মাছ ধরা নিয়ে জগন্নাথপুরের দাওরাই গ্রামের সফর আলী ও হীরা মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহতদের মধ্যে সফর আলীর ভাতিজা দুলা মিয়া মারা যান।

এ ঘটনার দুইদিন পর ২৬ নভেম্বর ৩২ জনকে আসামি করে দুলা মিয়ার চাচা সফর আলী জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

মামলা চলাকালে পাঁচ আসামির মৃত্যু হয়। বাদী সফর আলীও মারা যান।  

১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় সোমবার এ রায় দেন আদালত।
 
বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি সোহেল মিয়া ও অ্যাডভোকেট আবুল মজাদ চৌধুরী। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী। ১০ আসামিই বর্তমানে পলাতক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।