ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এমসি কলেজে দলবদ্ধ ধর্ষণ: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলি করতে রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এমসি কলেজে দলবদ্ধ ধর্ষণ: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলি করতে রুল

ঢাকা: সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্য প্রক্রিয়া গ্রহণে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।



আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাবরিনা জেরিন ও এম আব্দুল কাইয়ূম লিটন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে ধর্ষণ মামলায় এবং চাঁদাবাজির মামলায় চলতি বছরের মে মাসে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু এই পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি।  

এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী ওই তরুণীর স্বামী এ রিট করেন।

শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।

১০ দিনের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন।

এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

গত বছরের ১৭ জনুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।

অভিযোগ পত্রে আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।

এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়।

পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে এলে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এরপর চলতি বছরের ১১ মে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।