ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মুজিবনগরে হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
মুজিবনগরে হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুর: মুজিবনগরের বাগোয়ান গ্রামে চা দোকানি লিয়াকত আলী হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন।

এছাড়াও বাকি চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।  

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের মৃত অলিয়ত খাঁর ছেলে কবিদুল ইসলাম তার সহোদর ভাই মফিদুল ইসলাম এবং মৃত আবু লায়েস খাঁর ছেলে জামাত আলী ওরফে খোকা।

দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া একই মামলায় অন্য ধারায় তহুরা খার ছেলে লিয়াকত আলী ওরফে দুদু খাঁ, আবুল খাঁর ছেলে ভরস উদ্দিন খাঁ ও আবু লায়েছ খাঁর ছেলে ছোট খোকাকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির বিচার চলাকালিন আসামিরা সবাই আদালতে হাজির ছিলেন।

বাকি আসামি মফিদুল খাঁর ছেলে মশিউর রহমান, তাছির উদ্দীন, কাবিরুল খার ছেলে সাদিক ও অলিয়ত খাঁর ছেলে আবির হোসেনকে বেখসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি নিহতের ভাই রিপন হোসেন মামলার আসামি জামাত আলী ওরফে খোকার কাছ থেকে পাওনা ৪০০ টাকা চাইতে গেলে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয়। বিকেলে রিপন তার বড় ভাই লিয়াকত আলীর চায়ের দোকানে বসেছিল। এসময় জামাত আলীসহ আরও কয়েজন রিপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বড় ভাই লিয়াকত আলীর দোকানে যায়। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র রামদা, হাসুয়া রড নিয়ে হামলা করলে রিপন দোকানের ভেতরে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে লিয়াকত আলী হামলাকারীদের আটকাতে গেলে তারা প্রকাশ্যে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে চলে যায়।

এ হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ মুজিবনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান মামলার চার্জশিট দেন।

সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রোববার এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কাজী শহিদুল হক ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

তবে রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী শহিদুল হক বলেন, এ রায়ে আদালতের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা সন্তুষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।