ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

ফারদিনের মৃত্যু: এবার র‍্যাবের কাছে বিস্তারিত শুনলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
ফারদিনের মৃত্যু: এবার র‍্যাবের কাছে বিস্তারিত শুনলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর বিষয়ে এবার র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) কাছে বিস্তারিত শুনলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

র‍্যাবের সঙ্গে কথা বলে তারা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) চেয়েও ভালোভাবে তদন্তের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানতে পেরেছেন বলে জানা গেছে।

ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর ধারণা করা হচ্ছিল তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার। তবে ডিবি ও র‍্যাবের তদন্তে বেরিয়ে আসে ফারদিন খুন হননি, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এরপরই ঘটনার তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ডিবি কার্যালয়ে যান বুয়েট শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ আলোচনার পর তারা তদন্তের বিষয়ে আশ্বস্ত হওয়ার কথাও জানান।

এরপর শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে এ বিষয়ে জানতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় আরেক তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব সদরদপ্তরে যান বুয়েট শিক্ষার্থীরা। প্রায় তিন ঘণ্টার আলোচনা শেষে বেরিয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।

বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানোর কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের একজন বলেন, বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ডিবি কার্যালয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছিলাম। ডিবির কাছ থেকে কিছু বিষয় বিষয় ক্লিয়ার হয়েছিলাম আর কিছু বিষয় ক্লিয়ার হতে পারিনি।

তবে র‍্যাব আমাদের তদন্তের পর কীভাবে পট পরিবর্তন হয়েছে সে বিষয়ে জানিয়েছে। প্রথমে একটি জায়গার কথা বলেছিল র‍্যাব। তারা সেই জায়গার কথা কেন বলেছিল এবং পরে ওই সিদ্ধান্ত কীভাবে পরিবর্তন হলো, পরিবর্তনের পর নতুন যে সিদ্ধান্ত, তাতে র‍্যাব কীভাবে নিশ্চিত হলো- সবগুলো বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সময় নিয়ে আমাদের বলেছে।

ডিবির চাইতে র‍্যাব আরও বেশি তথ্য সঠিকভাবে দিয়েছে বলেও জানান ওই শিক্ষার্থী।

গত ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন ফারদিন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় ৯ নভেম্বর দিনগত রাতে ডিএমপির রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি ডিবি তদন্ত করলেও পাশাপাশি র‍্যাব ঘটনার তদন্ত করে। ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে- এমন নানা আলোচনার পর তদন্তে তার আত্মহত্যার বিষয়ে তথ্য এসেছে বলে জানায় র‍্যাব ও ডিবি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
পিএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।