ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রকৌশলীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রকৌশলীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীদের একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রকৌশলীরা।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে সওজ প্রকৌশলী সমিতির ৩০তম সম্মেলন ২০২২ উপলক্ষে ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে ‌‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রযুক্তি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রস্তুতি’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা এই আহ্বান জানান।

তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্লটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে বসুন্ধরা বিটুমিন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌশলী ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, আমাদেরকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাই তাহলে আমাদের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ভূমিকা অনেক বেশি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দৃড় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আমাদেরকে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

আমরা এখন কী ধরনের কাজ করছি সেটি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ইন্টেলিজেন্স ট্রান্সপোর্ট ও সিস্টেম নিয়ে কাজ করতে চাইলে আমাদেরকে হাইওয়ে বেজড নেটওয়ার্কগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আমাদেরকে একটি আইটিএস মাস্টার প্ল্যান করতে হবে।   সেখানে আমাদের দুই হাজার ১৯৫ কিলোমিটার সড়ককে আইটিএসে নিতে হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি বলেন, আমরা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাইলে আমাদের সড়ক-মহাসড়কের দিকে নজর দিতে হবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, তার প্রধানতম পরিকল্পনা ছিল একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। সেই সঙ্গে কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ সমৃদ্ধ করা।

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি একটি দুঃসাহসিক পরিকল্পনা হাতে নেন। তিনি তখন পাঁচশত সড়ক ও ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশে এতো বড় কাজ অলৌকিক শক্তি ছাড়া করা অসম্ভব। তিনি একটি সুখী সমৃদ্ধ জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি তার পরিকল্পনা সমাপ্ত করতে পারেননি। তার স্বপ্নকে পরিপূর্ণ করে চলেছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকে ঘর থেকে বের হলেই ব্যাংক হাতে হাতে স্মার্টফোন। তিনি দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সেই অবদান মেনে নিতে হবে। তার কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলেন, সড়কে যেন দুর্ঘটনা না ঘটে, মানুষ সড়কে চলাচলের জন্য যেন সব ধরনের সুবিধা দিতে হবে। আমাদের প্রধানতম অবকাঠামো হলো হাইওয়ে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের দরকার ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর জন্য সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। সরকার যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছে সেটা কতটা সফল, আমি বলব সেটা পুরোপুরি সফল।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন  সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান। প্যানেল আলোচক ছিলেন সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সওজ প্রকৌশলী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার চক্রবর্তী।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য মহাসড়ক নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট মহাসড়ক তৈরির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

বাংরাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
এসআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।